ভিন আকাশের চির প্রশান্তিময় নক্ষত্রের একমাত্র অধিবাসিনী তিশনা- অনিন্দ্য রূপবতী একটি মেয়ে, যে মানব স্নায়ুর গতি প্রকৃতি নিয়ে সেখানে গবেষণারত। গবেষণাপত্র চূড়ান্ত হবার প্রায় শেষ পর্যায়ে তার প্রতি নির্দেশ আসে পৃথিবীতে যাওয়ার। সংবাদবাহক ও রক্ষী ঈ’ল জানায়, ‘মানুষ আর পৃথিবী শব্দ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাবিশ্বের স্তরে স্তরে সাজানো আকাশ মন্ডলীর প্রথম স্তরে অসংখ্য ছায়পথের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ্যান্ড্রমিডা ছায়াপথের পাশেই অযুত নক্ষত্রের আলো নিয়ে জ্বল জ্বল করছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ! এর চারটি বাহুর একটি সর্পিল বাহুতে রয়েছে সূর্য নামে একটি উন্নত মানের নক্ষত্র। এই নক্ষত্রের সবচেয়ে মনোরম আর সুন্দর গ্রহটির নাম পৃথিবী। এখানেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসবাসের আদেশ প্রাপ্ত অধিবাসীদের সেরা প্রজাতি হচ্ছে ‘মানুষ’- সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এক সময় তিশনাও এর একটি অংশ হয়ে যাবে। বিপর্যস্ত তিশনা ফোঁপাতে ফোঁপাতে জানতে চায়, ‘আমি কী করেছি যার জন্য আমাকে পৃথিবীতে যেতে হচ্ছে!’ উত্তরে ঈ’ল শুধু জানায়, ‘তোমার বাবা কন্যা হিসাবে তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এর বেশি কিছু জানি না। আমি আদেশ পালন করছি মাত্র। আমাদের প্রত্যেককে ওই সুপ্রিম আদেশ পালন করতে হয়।’ তাদের আলাপচারিতার মাঝেই পদ্মরাগমণি পাথরের নির্মিত অপরূপ সুসজ্জ্বিত ‘সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল পোর্টে’ তিশনা তাঁর তিন সঙ্গীসহ যাত্রার জন্য অপেক্ষারত! অল্প কিছুক্ষণ পরেই এই নক্ষত্র পোর্ট থেকে গ্যালাকটিক হাইওয়ের মধ্য দিয়ে ‘পৃথিবী’ অভিমূখে তাদের মহাজাগতিক যাত্রা শুরু হবে! তিশনা চুপ করে বসে আছে। চলুন, মুগ্ধতায় ভরপুর ভিন্ন আকাশের এক অপরূপ নক্ষত্র কন্যা তিশনার সহযাত্রী হই।
Reviews
There are no reviews yet.